দেশের শিক্ষিত যুবকদের সৃজনশীল ও উদ্ভাবনী স্টার্টআপ বা নতুন উদ্যোগে যৌথভাবে কাজ করবে এসএমই ফাউন্ডেশন ও স্টার্টআপ বাংলাদেশ।

০৩ এপ্রিল ২০২৩ দেশের শিক্ষিত যুবকদের সৃজনশীল ও উদ্ভাবনী নতুন উদ্যোগে সহায়তার লক্ষ্যে এসএমই ফাউন্ডেশন ও স্টার্টআপ বাংলাদেশের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর
দেশের শিক্ষিত যুবকদের সৃজনশীল ও উদ্ভাবনী স্টার্টআপ বা নতুন উদ্যোগে যৌথভাবে কাজ করবে এসএমই ফাউন্ডেশন ও স্টার্টআপ বাংলাদেশ। সরকারি এই দু’টি সংস্থা দেশের শিক্ষিত যুব সমাজ বিশেষতঃ প্রযুক্তি ও কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সদ্য পাশ করা শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল ও উদ্ভাবনীমূলক কাজে আগ্রহী করে তোলা, এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান, সক্ষমতা বৃদ্ধিতে প্রশিক্ষণ, নীতি সহায়তা ও প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অর্থায়নের ব্যবস্থা করবে। এসব কার্যক্রম বাস্তবায়নে যৌথ কর্মসূচি গ্রহণের লক্ষ্যে আজ ০৩ এপ্রিল ২০২৩ আইসিটি বিভাগে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করা হয়। এসএমই ফাউন্ডেশনের পক্ষে ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. মফিজুর রহমান এবং স্টার্টআপ বাংলাদেশের পক্ষে ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব সামি আহমেদ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব জনাব মো. সামসুল আরেফিন। উপস্থিত ছিলেন এসএমই ফাউন্ডেশনের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব সালাহ উদ্দিন মাহমুদ এবং মহাব্যবস্থাপক জনাব মো. নাজিম হাসান সাত্তার ও মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও বেকারত্ব দূরীকরণে এসএমই খাতের উন্নয়নে এসএমই ফাউন্ডেশন বিদ্যমান এসএমই উদ্যোক্তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি, বাজার সংযোগ, প্রযুক্তি সহায়তা ও অর্থায়নের সুযোগ সৃষ্টিসহ নানা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টিও ফাউন্ডেশনের অন্যতম কাজ। বর্তমান প্রেক্ষাপটে ‘স্টার্টআপ’ নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টির একটি অন্যতম মাধ্যম। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের তরুণ সমাজ বিশেষতঃ শিক্ষিত যুব সমাজ ব্যাপক হারে নতুন উদ্যোগ ও স্টার্টআপের দিকে ঝুঁকছে। চাকরির পেছনে সময় নষ্ট না করে তরুণ-তরুণীরা তাদের সৃজনশীল, উদ্ভাবনীমূলক ও প্রযুক্তি সহায়ক উদ্যোগকে সার্থক করে তুলতে যৌথভাবে কাজ করতে পারে এসএমই ফাউন্ডেশন ও স্টার্টআপ বাংলাদেশ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে স্মার্ট উদ্যোক্তা প্রয়োজন। আর স্মার্ট উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে এসএমই ফাউন্ডেশন এবং স্টার্টআপ বাংলাদেশ এই যৌথ প্রয়াস সহায়ক হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।